• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৩-৩-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৪:৪৬

স্বেচ্ছাসেবলীগ নেতা রাসেলকে খুঁজছে পুলিশ



সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►

পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেয়ার নামে স্থানীয় দুই যুবকের নিকট থেকে আট লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলকে খুঁজছে গাইবান্ধা ডিবি পুলিশ।  রাসেল উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের ঈমার আলীর ছেলে ও বামনডাঙ্গা আব্দুল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। 

জানা গেছে, ২৭ ফেব্রুয়ারী গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ন এবং চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা গ্রামের জাকারিয়া হোসেনের ছেলেকে চাকরি দেয়ার জন্য ৫ লাখ এবং কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের ময়নুল ইসলামের নিকট থেকে ৩ লাখসহ মোট আট লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রের মুলহোতা রাসেলসহ আরও চার সদস্য।

পরীক্ষা দেয়ার পর পরীক্ষার্থীরা জানতে পারে রাসেল তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। প্রতারণার শিকার ওই দুই যুবকের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারকে জানান। পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন প্রচারক চক্রের সদস্যদের আটকের জন্য গাইবান্ধা ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন।

ডিবি পুলিশের ওসি মোখলেছুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারী রাতে গাইবান্ধা হতে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও চক্রের মুল হোতা রাসেলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের শফিকুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, শাহ আলম ও সাজেদুল ইসলাম সাজু। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা গ্রামের জাকারিয়া হোসেন সুন্দরগঞ্জ থানায় এ নিয়ে মামলা করে। 

জাকারিয়া হেসেন জানান, তার কাছে চাকরি জন্য মোট ১২ লাখ টাকা ঠিক এবং ময়নুল জানান, তার নিকট ৭ লাখ টাকা ঠিক হয়েছিল।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক এ এস এম আশেকুজ্জামান প্রামানিক তুহিন জানান, যেহেতু রাসেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে, সেহেতু কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম সরকার লেবু জানান, যারা দলের ভাবমুর্তি ক্ষুর্ণ করে তাদেরকে দলের মধ্যে রাখা উচিত নয়। এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাইবান্ধা ডিবির ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, রাসেলকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।